<p>তৃণমূলের ‘অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব’ নিয়ে ফের খোঁচা দিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-কুণাল ঘোষ বিতণ্ডা প্রসঙ্গে সোমবার তিনি বলেন, ‘‘আগামী লোকসভা ভোটে টিকিট না-ও পেতে পারেন কল্যাণ। সেটা আগাম বুঝেই সিগন্যাল দিচ্ছেন।’’ একই সঙ্গে মদন মিত্রের ‘কোথায় অভিযোগ করব, কার কাছে অভিযোগ করব’ প্রসঙ্গে দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘মদনদা দীর্ঘ দিনের রাজনীতিবিদ। ওঁর মনের মধ্যে অনেক কথা জমে রয়েছে। এত দিনে তিনি মন খুলে কথা বলেছেন। আসলে তৃণমূলের অন্দরে ভরকেন্দ্রে বদল হচ্ছে।’’<br><br>
দিলীপের এই মন্তব্যের জবাবে কুণাল ঘোষের টুইট, ‘দিলীপ ঘোষের ‘কঁহি পে নিগাহে, কঁহি পে নিশানা’। উনি এক দিকে রাজ্য বিজেপির বিদ্রোহে মদত দিচ্ছেন, আবার শাসক গোষ্ঠীর বিপাকে পড়াও উপভোগ করছেন।’ কুণালের কটাক্ষ, ‘দিলীপ নিজের দলের কোন্দল থেকে নজর ঘোরাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুলভাল বলছেন। এ সব ওঁর ‘মন কি বাত’ নয়। বিজেপি-র ক্ষমতাসীনদের উত্যক্ত করাটাই ওঁর মন কি চাহত।’ <br><br>
গত কয়েক দিন ধরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ব্যক্তিগত মন্তব্য’ নিয়ে বাগ্‌যুদ্ধ চলছিল তৃণমূলের দুই নেতার। শেষে পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্বে ‘আপাতত’ ইতি টানেন দুই পক্ষ। দলীয় সূত্রে খবর, পার্থ দলের নেতাদের বলেছিলেন দলের কথা দলের ভিতরেই রাখতে। এর পর শনিবার থেকে এ নিয়ে কোনও কথাও বলেননি কল্যাণ। বদলে এক সভায় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি মমতার নীতিতে এক সঙ্গে কাজ করায় বিশ্বাসী। আমি নয়, ‘আমরা’য় বিশ্বাসী। তবে কল্যাণের সেই মন্তব্য নিয়েও বিজেপি আক্রমণ করতে ছাড়েনি। রবিবার কল্যাণের ওই মন্তব্য টুইট করেন বিজেপি-র আর এক নেতা এবং বাংলার সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালবীয়। বিতর্ক উস্কে দিয়ে অমিত জানতে চেয়েছিলেন, ‘কল্যাণের কথা শুনে মনে হচ্ছে মমতা তাঁর উচ্চাকাঙ্খী ভাইপোকে কিছুটা চেপে রাখার চেষ্টা করছেন।’<br><br>
কল্যাণের উপর বিজেপি-র এই আক্রমণেরও জবাব দেন কুণাল। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘তৃণমূল এক সঙ্গে থাকা একটি সুখী পরিবার। তাতে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা বৃথা।’</p>